সাহিত্য গতিপথ পাল্টায়। সময়ের অভিঘাত এবং লেখকের অভিজ্ঞান সাহিত্যের পথকে তরঙ্গায়িত করে, জন্ম দেয় নতুন স্রোতধারার। যাপিত জীবনের পাশাপাশি চিন্তাজীবনেও এর প্রতিফলন অনিবার্য। তীব্র কুড়িগ্রাম পত্রিকার পূর্ববর্তী সংখ্যাগুলোতে স্বাধীনতা পরবর্তীকালে কুড়িগ্রামে রচিত কথাসাহিত্যের প্রধান তিনটি ধারা যেমন কবিতা, গল্প ও প্রবন্ধে মননশীল ব্যক্তিত্বদের আলোচিত করতে পেরেছি বলে মনে করি।
তীব্র কুড়িগ্রামের ৪র্থ সংখ্যা থেকে দুই হাজার সাল পরবর্তী নতুন সাহিত্যরূপের অন্বেষনরত লেখকগণকে আলোচ্য করে তুলতে চাই। নতুন সহস্রাব্দমুখী বাংলা সাহিত্যের গতিধারায় কুড়িগ্রামের লেখকগণের অবয়ব, অবস্থান ও শৈলী খোঁজার চেষ্টায় আমাদের এবারের অভিমুখ তরুণ কবি শুভ্র সরখেলের দিকে। তিনি এক তীব্র ও তন্নিষ্ঠ আবেগে বাংলা সাহিত্যের নতুন প্রকরণকে আবেষ্টন করে রয়েছেন। তাঁর চিন্তা প্রবাহের প্রতিটি বাঁকে বিচ্ছুরিত হয় নতুন আহ্বান। তাঁর বিনির্মাণ আমাদের প্রচলিত চৈতন্যকে বর্ণিল করে তোলে। এই অপরিজ্ঞাত শব্দকাঠামোর ব্যবচ্ছেদ করা প্রয়োজন।
কুড়িগ্রামের নবীন আলোচকদের মননে শুভ্র সরখেল কিভাবে বিশ্লেষিত হলেন, তা পাঠক সমীপে উপস্থাপন করা হল। আশা করি বিদগ্ধ পাঠকের কৌতুহল পরিতৃপ্ত হবে।
সবিনয়ে স্বীকার করি যে, পাঠবিশ্লেষণ বিষয়ক এই কার্যক্রমের যাবতীয় ব্যর্থতা আমার আর প্রতিটি প্রশংসাবাক্যের কৃতিত্ব লেখক, আলোচক ও পাঠকবর্গের।
উল্লেখ্য যে, রচনাসমূহের শব্দবিধি ও বানান লেখকের নিজস্ব।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
মন্তব্য করার আগে আর একবার চিন্তা করুন, যা বলতে চান তা যথার্থ কি?