কুড়িগ্রাম জেলার প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব, সাংস্কৃতিক সংগঠক আহসান হাবীব জুলকারনাইন স্বপন একজন নিবেদিতপ্রাণ সাহিত্যিক। গল্প, কবিতা, নাটক রচনার পাশাপাশি একজন প্রথিতযশা অভিনেতা, নির্দেশক। সাহিত্যিক মননের সাথে সংগঠকের আন্তরিকতা মিশে তৈরি হয়েছে এক তীব্রপ্রাণ অবয়বের।
"তীব্র কুড়িগ্রাম" এর দ্বিতীয় সংখ্যায় আলোচনা করা হল সাহিত্যপ্রবণ মানুষটির রচনা নিয়ে। তাঁর সাহিত্যকর্ম নিয়ে সম্মিলিত বিশ্লেষণ এই প্রথম। তিনি নিজে প্রচারবিমুখ হবার কারণে তাঁর শিল্পসত্ত্বার খবরও তেমন প্রকাশিত হয় নি। "তীব্র কুড়িগ্রাম" এর এই সংখ্যায় আমরা তার মননজগৎকে পাঠকের সামনে উন্মোচন করার চেষ্টা করেছি। তাঁর গল্প, কবিতার অন্তর্সম্পদকে মূল্যায়ন করার প্রচেষ্টা নিয়েছি। আমাদের সার্বিক সামর্থ্যের দুর্বলতা, সীমাবদ্ধতা, অসম্পূর্ণতা স্বীকার করি।
"তীব্র কুড়িগ্রাম" এর প্রথম সংখ্যা ছিল শিক্ষক সাহিত্যিক প্রাবন্ধিক সংগঠক অধ্যাপক তপন কুমার রুদ্র'কে নিয়ে। সংখ্যাটি আশাতীত পরিচিতি পেয়েছে। প্রশংসাপ্রাবল্যে আমরা বিব্রত। কুড়িগ্রামের লেখককে নিয়ে কুড়িগ্রামবাসীর আগ্রহ দেখে ভাল লেগেছে।
আমরা বরাবরের মত বলতে চাই কুড়িগ্রাম জনপদটি দেশের প্রান্তবাসী হলেও কল্পনায়, চিন্তায়, শিল্পশৈলী সৃষ্টিতে দরিদ্র নয়। তার পরিচয় প্রকাশে আমরা প্রগলভ হতে চাই। মননশীল সাহিত্যপ্রাণ জুলকারনাইন স্বপনের সাহিত্যকীর্তির বিশ্লেষণ সেই প্রচেষ্টার একাংশ। প্রত্যাশা করি কুড়িগ্রাম নিয়ে আপনার অনন্ত আগ্রহ পদক্ষেপ পাবে।
পত্রিকার অনলাইনে এবারে প্রচ্ছদচিত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে 'রৈখিক' সাহিত্যপত্রের সম্পাদক জাহানুর রহমান খোকনের তোলা একটি ছবি। তাকে ধন্যবাদ জানাই।
উল্লেখ্য যে, রচনাসমূহের শব্দবিধি ও বানান লেখকের নিজস্ব।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
মন্তব্য করার আগে আর একবার চিন্তা করুন, যা বলতে চান তা যথার্থ কি?