‘তীব্র কুড়িগ্রাম’ আলোচনাপত্রের এবারের সংখ্যায় আলোকপাত করেছি কুড়িগ্রামের স্বপ্নচারী লেখক ‘হেলাল জাহাঙ্গীর’ এর প্রতি। আশির দশক থেকে হাতে তুলে নিয়েছেন তীব্র কলম। মুক্তিযুদ্ধের গন্ধ তখনও বুকে লেগে আছে। দেশপ্রেমের প্রবল তাড়নায় নিষ্প্রহ থাকা দায়। প্রচলিত পুরনো যা কিছু, তা নিপতিত হয়েছে অন্তসারশূন্যতায়। মুখ ব্যাদান করে মুখোমুখি দাঁড়ায় করুণ সমকাল। হেলাল জাহাঙ্গীর এই বিকট প্রতিবেশ থেকে মুক্তি চান। হাতছানি দেয় দ্রোহ ও বিপ্লব। কবিতা ও নাটকের আশ্রয়ে প্রকাশ করেন নিজের মনের অবয়ব।
আশির দশক, নব্বই দশক পেরিয়ে একবিংশ শতকের সিকিভাগ সময়েও তিনি সক্রিয়। এখনও তার জীবনের অন্যতম উপচার লেখালেখি। প্রান্তবর্তী মানুষের দুর্বলতা, ব্যর্থতা, সীমাবদ্ধতাকে অস্বীকার করেন না বরং মানুষের অসীম সম্ভাবনাকে মনে করেন স্বপ্নসেতু। আর তাই আমরা তাঁকে উপস্থাপন করতে চাই ভিন্ন আলোয়, ভিন্ন আঙ্গিকে।
পূর্ববর্তী সংখ্যাগুলোতে প্রাবন্ধিক অধ্যাপক তপন কুমার রুদ্র, গল্পকার জুলকারনাইন স্বপনকে নিয়ে উপস্থাপিত আলোচনাগুলোর উচ্চ প্রশংসা আমাদেরকে উৎসাহিত করেছে। আলোচনাপত্রের ব্যাপক চাহিদা দেখে আমরা অভিভূত। বর্তমান সংখ্যায় কবি ও নাট্যকার হেলাল জাহাঙ্গীরের অন্তর্জগতকে উন্মোচন করার চেষ্টা করা হল। সফলতার মাত্রা নিরূপণ ভবিতব্যের হাতে।
এবারে হেলাল জাহাঙ্গীর এর রচনাসমূহের অন্তর্জগত আমাদের সামনে উন্মোচন করেছেন বেশ কয়েকজন তরুণ প্রাবন্ধিক। তরুণদের সাথে এই মিথস্ক্রিয়া আমাদের আশাবাদী করে তোলে; স্বপ্নপ্রবণ হয়ে উঠি। শুধু ধন্যবাদ দিয়ে এই ঋণগুলো শোধ হবার নয়।
এভাবেই কুড়িগ্রাম জেগে উঠুক জীবনের গহীন উঠানে।
উল্লেখ্য যে, রচনাসমূহের শব্দবিধি ও বানান লেখকের নিজস্ব।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
মন্তব্য করার আগে আর একবার চিন্তা করুন, যা বলতে চান তা যথার্থ কি?