‘শোনো বিশ্বজন,
শোনো অমৃতের পুত্র যত দেবগণ
দিব্যধামবাসী, আমি জেনেছি তাঁহারে,
মহান্ত পুরুষ যিনি আঁধারের পারে
জ্যোতির্ময়। তাঁরে জেনে, তাঁর পানে চাহি
মৃত্যুরে লঙ্ঘিতে পার, অন্য পথ নাহি।’
—রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ওরে ও সুবল, দূর্বল খোলস ছেড়ে
চল তো বেরিয়ে পড়ি দখিনা বাতাসে;
ভূতপূর্ব বায়ুপ্রবাহে, সেই প্রবাসে
চল যাই, মর্মদাহ যাচ্ছে শুধু বেড়ে।
মর্মার্থ বুঝতে একদিন শ্বেতপাত্রে
ঘনীভূত হয়েছিল বহু কৃশদেহ—
পত্র-পুষ্প ভরা সেই ডালে ছিলো স্নেহ,
সেই ঋণ কেহ খোঁজে নাই কৃষ্ণরাত্রে।
ফলে অগ্নিবহনের দায় ভুলে গেছে
ভুলে গেছে সারথীকে ছিলো যারা রথে,
চলে গেছে সবে দক্ষিণের বায়ুপথে
আর বাষ্পীভূত হয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে।
ঘুমন্তদের অগ্রাহ্য করে চল ওরে
উড়ে উড়ে বাতাসের গন্ধে ডানা ঘষে
দূরত্বের শূন্যতা পোড়াই তীব্র রোষে
আচার্য-সন্ধানে যাই ঘূর্ণ-বায়ু ধরে।
ওই তো ওখানে ভাই সেই তপোবন,
বনান্তে ছিলেন তিনি দীর্ঘ তপস্যায়—
চল গিয়ে তাঁহারে বলি, ‘বৃক্ষ-ছায়ায়
আজো ভাসে রৌদ্র-ঘ্রাণ, আচার্য তপন।’
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
মন্তব্য করার আগে আর একবার চিন্তা করুন, যা বলতে চান তা যথার্থ কি?